Previous
Next

সর্বশেষ

Tuesday, August 5, 2025

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণ, আহত অন্তত ১০

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণ, আহত অন্তত ১০


 রাজধানী ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থলে বেলুন বিস্ফোরণ হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে আড়াইটার দিকে এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ দুপুর তিনটার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আহতরা হলেন- মো. মাজহারুল ইসলাম (২৭), মো. বিল্লাল (৪৫), মো. ফাহাত (২০), মো. মুনসুর ইসলাম (৩৮), মো. শরীফ (৩২), মো. পলাশ (২১), মো. হাবিবুল্লাহ (২৩), মো. ইয়াসিন (২৫), মো. মিশু (২৩), মো. মিহাত (১৭)।

গত বছরের এই দিনে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালানোর মুহূর্তে আজ মঙ্গলবার উড়ানো হয় হেলিকপ্টার বেলুন। শেখ হাসিনা পালানোর ইতিহাস স্মরণীয় করে রাখতে এ বেলুন উড়ানো হয় বলে জানায় আয়োজকরা।

Sunday, August 3, 2025

মহেশখালীর তৌহিদুল ইসলাম সবুজ কক্সবাজার জেলা ফুটবল খেলোয়াড সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেন

মহেশখালীর তৌহিদুল ইসলাম সবুজ কক্সবাজার জেলা ফুটবল খেলোয়াড সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেন


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজার জেলা ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক স্ট্রাইকার ও বসুন্ধরা কিংসের সাবেক অধিনায়ক, দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলার সন্তান তৌহিদুল আলম সবুজ।

শনিবার (২ আগস্ট) বিকালে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামের অডিটোরিয়ামে এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সদ্য সাবেক সভাপতি ইকবাল মোহাম্মদ শামসুল হুদা টাইটেল ও সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক অনুপ বড়ুয়া অপু এই কমিটির অনুমোদন দেন।

ফুটবলের প্রতি দীর্ঘদিনের নিবেদন ও কক্সবাজারসহ দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে তৌহিদুল আলম সবুজ কে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

তৌহিদুল আলম সবুজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফুটবল খেলে দেশের সুনাম অর্জন করেছেন। বসুন্ধরা কিংসের অধিনায়ক থাকা অবস্থায় তিনি দলকে একাধিক শিরোপা উপহার দেন। তার নেতৃত্বে কক্সবাজারের ফুটবল আরও গতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা।

সমিতির নতুন সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণ করে খেলোয়াড়দের অধিকার সংরক্ষণ ও জেলা পর্যায়ের ফুটবল উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

Saturday, August 2, 2025

সাবেক ডিজিএফআই ডিজি হামিদের সাথে জামায়াত ঘনিষ্ঠতা

সাবেক ডিজিএফআই ডিজি হামিদের সাথে জামায়াত ঘনিষ্ঠতা

 

২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক গোয়েন্দা ইউনিট ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক। ডিজিএফআই থেকে সরিয়ে দেয়ার মাসখানেক পর ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। ক্ষমতা গ্রহণের পর সামরিক বাহিনী পুনর্গঠনের সূচনালগ্নে মেজর জেনারেল হামিদুল হককে ডিজিএফআইয়ে থেকে যেতে এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠনে সহায়তা করতে অনুরোধ করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের একজন শীর্ষ ব্যক্তিত্ব।

জানা যায়, মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক আগস্টের শুরুর দিকে উত্তাল সময়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে গেছেন। এমনকি ৫ আগস্টের আগে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান ও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সাবেক ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (বরখাস্ত) মুজিবুর রহমান যখন সেনাপ্রধানকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন, তখনো মেজর জেনারেল হামিদুল হক সেনাপ্রধানকে সহায়তা করেন। এছাড়া ৫ আগস্টের আগে হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে সাবেক যে সেনা কর্মকর্তারা সরব হয়েছিলেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল হামিদুল হকের।

গত ৮ জুলাই মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। যদিও পরে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবগুলো ডিজিএফআইয়ের, সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক হামিদুল হকের নয়। ডিজিএফআইয়ের চারটি প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট প্রতিষ্ঠানের নামে না হয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের নামে হওয়ায় করণিক ত্রুটির কারণে এগুলো ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব হিসেবে অবরুদ্ধ হয়েছে। এটি একটি তথ্যসূত্রগত ত্রুটি ছিল। তবে হামিদুল হকের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত চলমান রয়েছে।

মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক ডিজিএফআইয়ের ডিজি হিসেবে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। সূত্রমতে, তিনি সংস্থাটিকে রাজনৈতিক বিতর্কের বাইরে রাখার প্রচেষ্টাও চালিয়েছিলেন। এর আগে ২০১০ সালে হামিদুল হকের বিরুদ্ধে বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল তিনি বিডিআর বিদ্রোহ-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মিডিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তা করেছেন। এ বিষয়ে তাকে সতর্ক করা হয়। ওই সময় তার চাকরি হারানোর ঝুঁকিও তৈরি হয়।

১৯৭০ সালে কক্সবাজারে জন্মগ্রহণ করা হামিদুল হক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৯০ সালের ২২ জুন সেনাবাহিনীর ইনফ্যান্ট্রি কোরে কমিশন পান তিনি। মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং সিলেটের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়া পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এছাড়া তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কলেজ সেক্রেটারি এবং কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিক্ষোভের সূত্র ধরে পরিস্থিতি যখন আরো খারাপের দিকে যাচ্ছিল, ওই সময় দেশজুড়ে সেনা মোতায়েন করে সরকার। ৩ আগস্ট সেনাপ্রধানের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তরুণ সেনা কর্মকর্তারা জনগণের ওপর গুলি নয় এ মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও জানিয়েছিলেন বেসামরিক নাগরিকের ওপর গুলি চালাবে না সেনাসদস্যরা।

আন্দোলনকারীদের ওপর সেনাবাহিনী গুলি না চালানোয় সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের নেতৃত্ব নিয়ে অসন্তোষ ছিল এসএসএফের সাবেক ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (বরখাস্ত) মুজিবুর রহমান এবং মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের মধ্যে। তাদের অভিযোগ ছিল, ‘ওয়াকার নিজের কোরামকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না, আন্দোলন কীভাবে সামলাবেন’? এর পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার অনুমতিতে ওয়াকার-উজ-জামানকে সরিয়ে মুজিবুর রহমানকে সেনাপ্রধান করার পরিকল্পনা করা হয়। তবে একাধিক সূত্র মারফত সে খবর পেয়েছিলেন সেনাপ্রধান। তাদের মধ্যে মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক একজন ছিলেন বলে জানা যায়। সে পরিকল্পনার খবর জানার পর হামিদুল হক তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন এবং বিদ্যমান ভারসাম্য রক্ষায় নিজেকে দৃশ্যত নিরপেক্ষ রাখেননি, সেনাপ্রধানকে সহায়তা করে গেছেন।

নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক সূত্রগুলোর বরাতে জানা যায়, মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের সঙ্গে শুধু সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরেই নয়, বরং রাজনৈতিক মহলেও সক্রিয় যোগাযোগ ছিল। ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক থাকার সুবাদেই এ যোগাযোগ গড়ে ওঠে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর একটি অংশের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল এমন দাবিও করেছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। আরেকটি সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে সেনাবাহিনীকে নিউট্রালাইজ রাখা বা অভ্যুত্থানের বিপক্ষে সক্রিয় না করার বিষয়েও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের সঙ্গে জামায়াতের একটি অংশের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ ছিল। ওই সময় সেনাবাহিনীর ভেতরে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার কৌশলের অংশ হিসেবেই এ যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছিল বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও এসব বিষয়ে কখনো প্রকাশ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে এটি নিয়ে অভ্যন্তরীণ মহলে নানা ধরনের আলোচনা রয়েছে।


চকরিয়ার বদরখালীতে যুবককে গু’লি করে হ’ত্যা

চকরিয়ার বদরখালীতে যুবককে গু’লি করে হ’ত্যা


 কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালীর আজমনগরে মোহাম্মদ সুহায়েত (৩৫)নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বদরখালী ইউনিয়নের ৩ নং ব্লক আজমনগর স্কুলের সামনে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক সুহায়েত ৬নং ওয়ার্ড মগনামা পাড়া এলাকার
নুরুল আজিজের ছেলে।

জানাগেছে- যুবক সুহায়েত একা দাঁড়ানো ছিলো। একটি অটোরিকশা থেকে তাকে গুলি করা হয়।গুলিতে তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি।কেন এই ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার পূর্বক আইননের আওতায় আনা হবে।

Wednesday, July 30, 2025

রাঙামাটিতে আসল আনসারের হাতে ভুয়া আনসার সদস্য আটক

রাঙামাটিতে আসল আনসারের হাতে ভুয়া আনসার সদস্য আটক


 রাঙামাটি জেলা শহরের আমানতবাগ এলাকা থেকে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে রুবেল চাকমা (২৫) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে জেলা আনসার ব্যাটালিয়ন। রুবেল চাকমা নিজেকে আনসার, র‌্যাব-পুলিশ বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে নানাভাবে প্রতারণা করে আসছিল। রুবেল চাকমা রাঙামাটির বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের হাতিয়াছড়া গ্রামের বাসিন্দা অনিল কুমার চাকমার সন্তান বলে জানা গেছে।

প্রতারক রুবেল চাকমা আনসার, র‌্যাব, পুলিশ বাহিনীর পোশাক পড়ে ছবি তুলে নিজের ফেইসবুকে ছড়িয়ে নিজেকে ওই সব বাহিনীর একজন সদস্য পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে নানা ভাবে প্রতারণা করেছে।

সরকারি বাহিনীর সদস্য পরিচয়ের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে নানান জনকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অবশেষে শেষ রক্ষা হয়নি রুবেল চাকমার। এই প্রতারককে রাঙামাটি জেলা আনসার ব্যাটালিয়নের বিশেষ টিম আটক করতে সক্ষম হয়েছে। রাঙামাটি জেলা আনসার ব্যাটালিয়নের জেলা কমাড্যান্ট অফিসার মো. আনোয়া হোসেন বিপিএম, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত ১০টার দিকে আনসার ব্যাটালিয়নের জেলা কমাড্যান্ট মো: আনোয়া হোসেন-বিপিএম এর নির্দেশনায় জেলা সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট আনোয়ার জাহেদ-এর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযানে তাকে আটক করা হয়।

জেলা কমাড্যান্ট মো. আনোয়ার হোসেন (বিপিএম) জানান, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন এলাকায় অবস্থানকালে রুবেল চাকমা আনসার ব্যাটালিয়নের ইউনিফর্ম পরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন পোস্ট দিতেন। সেখানে তিনি আনসারে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আগ্রহী প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।

তার এমন প্রলোভনমূলক পোস্টে প্রভাবিত হয়ে রাঙামাটি সদর এলাকার শান্তু চাকমা, বিপলন চাকমা ও বাচ্চুমনি চাকমা তার সঙ্গে চাকরির জন্য যোগাযোগ করেন। পরে তারা তাকে মোট সাড়ে ৫ লাখ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে চাকরি না পেয়ে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অবহিত করেন।

তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থা প্রায় এক মাস ধরে রুবেল চাকমার ওপর নজরদারি চালায়। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ চলমান রয়েছে বলেও জানিয়েছে আনসার ব্যাটালিয়ন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রুবেল চাকমার এ ধরনের প্রতারণার বিষয়টি নজরে আসার পর ২৮ জুলাই ২০২৫ বাংলাদেশ আনসার এন্ড ভিডিপি’র অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে একটি সচেতনতামূলক ভিডিও প্রচার করা হয়। সেখানে বলা হয়, বাহিনীর নাম, ইউনিফর্ম, পদবি বা কর্মকর্তার পরিচয় ব্যবহার করে কেউ আর্থিক লেনদেন, সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রস্তাব কিংবা কোনো রকম প্রলোভন দেখালে স্থানীয় প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।ভিডিওতে রুবেল চাকমার প্রতারণা সম্পর্কে জানানো হয়, রুবেল চাকমা নিজেকে কখনো বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আনসার ব্যাটালিয়নের সিপাহি, কখনো ল্যান্স নায়েক, আবার কখনো সদ্য পদন্নোতি প্রাপ্ত হাবিলদার কিংবা বাহিনীর উপপরিচালক পরিচয়ের মাধ্যমে তার প্রতিবেশী এক চাকমা তরুণীর সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

ভিডিওর তথ্যে আরো জানানো হয়, রুবেল চাকমা কখনো ৩১ আনসার ব্যাটালিয়নের, আবার কখনো ১৬ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য পরিচয় দিয়ে, বাহিনীর নাম, পোশাক, ব্যাজ, মেডেল ও ক্রেস্টের ছবি ব্যবহার করে মেয়েটির আস্থা অর্জন করে। তবে প্রকৃতপক্ষে রুবেল চাকমার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাথে কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই। সে একজন প্রতারক, যার কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং আইনবিরোধী।

বাংলাদেশ আনসার এন্ড ভিডিপি এ বিষয়ে সর্বসাধারণকে সতর্ক করে ভিডিওতে জানানো হয়, এ ধরনের প্রতারকদের সম্পর্কে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে। বাহিনীর নাম, ইউনিফর্ম, পদবি বা কর্মকর্তার পরিচয় ব্যবহার করে কেউ আর্থিক লেনদেন, সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রস্তাব কিংবা কোনো রকম প্রলোভন দেখালে, সেক্ষেত্রে তথ্য যাচাই করা এবং প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।







রিয়াদের পরিবারের দাবি অস্বীকার করলো আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

রিয়াদের পরিবারের দাবি অস্বীকার করলো আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

 

চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগে পাকা ভবন তৈরির অর্থ নিয়ে তার মা রেজিয়া বেগমের দেওয়া তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়— আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ বা তার পরিবারকে তাদের পক্ষ থেকে কোনো অর্থ দেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ বেসরকারি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। ২৭ জুলাই গুলশানে আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদার টাকা আনতে গেলে রিয়াদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওই দিন রাতে অনলাইনে ‘সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি/অনটনের মধ্যে বেড়ে ওঠা ছাত্রের বাড়িতে হঠাৎ উঠছে ভবন, এলাকায় নানা আলোচনা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সেখানে হঠাৎ ভবন নির্মাণের অর্থের সংস্থান নিয়ে রিয়াদের মা রেজিয়া বেগম বলেন, বন্যার পর সরকারের কাছ থেকে চার বান্ডিল ঢেউটিন পেয়েছেন, সেগুলো বিক্রি করেছেন। আল-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন। এসব টাকাও ঘরের কাজে ব্যয় করছেন।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়— তাদের রেকর্ড অনুযায়ী ওই ইউনিয়নে আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ, তার বাবা আবু রায়হান, অথবা তার মা রেজিয়া বেগম নামের কেউ আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের উপকারভোগীদের তালিকায় নেই। রিয়াদ বা তার পরিবারের কারও বিকাশ নম্বরে কোনো লেনদেনও তাদের রেকর্ডে নেই।

মগনামা প্রধান সড়ক যেন মরণ ফাঁদ।

মগনামা প্রধান সড়ক যেন মরণ ফাঁদ।

 


কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের চলাচলের একমাত্র প্রধান সড়ক,যেখান দিয়ে চলাচল করে এই ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষ । দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সাব-মেরিন নৌ-ঘাটি এই ইউনিয়ন অবস্থিত অথচ এখানকার মানুষগুলোর হাটাচলার রাস্তা হওয়া দরকার ছিলো কত উন্নত। দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারনে মগনামার যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন রাস্তা নামের নালা দিয়ে প্রতিদিন ছোট কাটো দূর্ঘটনা হয় এই রাস্তা দিয়ে।এই ইউনিয়নে দায়িত্ব এখন চেয়ারম্যান নেই যে দায়িত্বে আছে উনি তো আর টমটম আর সিএনজি করে চলাচল করে না উনি চার চাকার গাড়িতে যাতায়াত করে কষ্ট ওনার হয় না। 

এই রাস্তাটি ফুলতলা স্টেশন বা বিসমিল্লাহ রোড এর মাথা থেকে মগনামা উচ্চ বিদ্যালয় হয়ে কইড়া বাজার পর্যন্ত। প্রথম ধপে রাস্তাটি খোলা হয়েছিল মিয়াজিপাড়া থেকে বেদরবিল পাড়া পর্যন্ত। ঠিকাদার কোন মতে মেগাডম এর কাজ শেষ করে লাপাত্তা হয়েছে। 

সিসি ঢালায় আর হয়নি এখন বর্ষাকালে রাস্তাটি মনে হয় একটি পানি চলাচলের ড্রেইন বা নালা। এখানকার মানুষ টমটম এবং সিএনজি নিয়েই উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে।দিনে যারা একবার এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে তাদের তিন দিন গায়ে ব্যথা থাকে। এবার চিন্তা করুন যারা অসুস্থ, মহিলা এবং শিশু-কিশোর আছে তাদের কি অবস্থা হয়। 


 দীর্ঘ এক বছর হয়ে গেছে রাস্তাটি এই অবস্থায়, উপজেলা প্রকৌশলী থেকে শুরু করে জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী কারো কাছে বিষয়টি অজানা নয়। অতি মেধাবী এই ঘুষখোর পেকুয়া উপজেলায় যতদিন থাকবে ততদিন মগনামার মানুষকে কষ্ট পেতে হবে। 


মগনামায় এখন কোন জনপ্রতিনিধি নাই, তাই যারা পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করছে তারা চার চাকার বড় গাড়িতে যাতায়াত করেন তাও কদাচিৎ।  উনারা যদি সপ্তাহে একবার হলেও মগনামায় আসতেন সিএনজি বা টমটম নিয়ে তাহলে এই জনপদের মানুষের দূর্দশা বুঝতে সক্ষম হতেন।