Previous
Next

সর্বশেষ

Thursday, March 13, 2025

চকরিয়ার ৩০৬নং ফাইতং ইউনিয়নের ফাইতং মৌজার কুইজ্জ্যাখোলা নামক এলাকায় ১০০ একর পরিমাণের বাগানে আগুন ধরিয়ে দিয়ে

চকরিয়ার ৩০৬নং ফাইতং ইউনিয়নের ফাইতং মৌজার কুইজ্জ্যাখোলা নামক এলাকায় ১০০ একর পরিমাণের বাগানে আগুন ধরিয়ে দিয়ে

 

চকরিয়ার ৩০৬নং ফাইতং ইউনিয়নের ফাইতং মৌজার কুইজ্জ্যাখোলা নামক এলাকায় ১১ মার্চ সকাল ৯টায় প্রায় ১০০ একর পরিমাণের বাগানে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সেগুন,ম্যালেরিয়া, বেলজিয়ামসহ  বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫ লক্ষাধিক গাছ নষ্ট করে দিয়েছে দূর্বৃত্তের দল। বর্তমানে বাগানের গাছের বয়স ২/৩বছর হয়েছে। প্রতি গাছের মূল্য ৫০ টাকা করে ধরলেও ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। 

বাগানের মালিক মৃত মোঃ কালা মিয়ার পুত্র মাওলানা নাজেম উদ্দিন, তাহার ছাবেকুন্নাহার, অন্য প্লটের মালিক মনসুর আলম, রফিক প্রকাশ লেং রফিক, ইয়াসিন, হোসাইন আহমদ কে বা কাহারা কি জন্য তাদের বাগানে আগুন দিয়েছেন এখনো সূত্র উদ্ঘাটন হয়নি। বাগানে আগুন দেয়ার বিষয়ে কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারলে, তথ্য দাতাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার করা হবে।

Wednesday, March 12, 2025

ফ্যাসিবাদের পতনের ৬ মাসেও সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমান হলো না

ফ্যাসিবাদের পতনের ৬ মাসেও সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমান হলো না

 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিএনপিও দ্রুত নির্বাচনের সাথে সাথে অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার ও ফ্যাসিবাদের হোতা ও দোসরদের বিচার চায়। তবে ফ্যাসিবাদের পতনের পর ৬ মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত সংস্কার , বিচার ও নির্বাচন কেনো দৃশ্যমান হলো না।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি রাজনীতিতে আসা নতুন বন্ধুদেরও জবাবদিহি করা দরকার। কেননা সরকারে তারা ছিল, আছে এবং সরকারের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ দৃশ্যমান।

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার কলিয়ানিকান্দায় সদর ইউনিয়ণের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।

ইফতার ও দোয়ার আগে উপস্থিত জনসাধারণসহ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন , দেশ ও জাতি এক কঠিন ও জটিল সময় পার করছে । এসময় সকলকে ধৈর্য ও সহনশীল আচরণ করতে হবে । দলের নাম ব্যবহার করে বা পতিত আওয়ামী লীগের কেউ যেন অসৎ বা উচ্ছৃঙ্খল কাজ না করতে পরে সে দিকে সকলকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি সকলকে সতর্ক করে বলেন, নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে। নির্বাচন প্রলম্বিত হলে গণতন্ত্র সুদূর পরাহত হবে। তাই যে কোনো মূল্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে নির্বাচন আদায় করতে হবে।

তিনি বলেন, নতুন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিচার ও সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামার কথা বলছেন। তাদের এই দুই দাবির সাথে নির্বাচনের দাবি কেন নেই তা রহস্যজনক। তাহলে কী জনগণ ধরে নিবে যে নির্বাচন প্রলম্বিত করাই তাদের উদ্দেশ্যে? তাদের কারও কারও কণ্ঠে কর্তৃত্ববাদের সুর। এটা করলে ওটা হবেনা , ওটা না করলে এটা হবে না- এ ধরনের কথা বা নিজেদের দাবি অন্যদের ওপর চাপিয়ে দিতে শর্ত আরোপ করা কর্তৃত্ববাদের নামান্তর। অযৌক্তিক ,অবাস্তব ও জন সম্পৃক্তহীন দাবি বা ইস্যু রহস্যজনক।

প্রিন্স বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ছাড়া সংস্কার টেকসই হবে না এবং দেশে স্থিতিশীলতা ও স্বস্তি ফিরে আসবে না।

কলিয়ানিকান্দা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে হলুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হাসনাত বদরুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার পূর্ব আলোচনায় বক্তব্য রাখেন হলুয়াঘাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আশরাফ, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রশীদ, হাবিবুর রহমান। গণ-অভ্যুত্থানে নিহত বিজয় ফরাজীর পিতা সায়দুল ফরাজী সহ স্থানীয়দের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

গুলিতে ইমামের পা হারানোর ঘটনায় ওসিসহ ৩১ জনের নামে মামলা

গুলিতে ইমামের পা হারানোর ঘটনায় ওসিসহ ৩১ জনের নামে মামলা

 

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পুলিশের গুলিতে পা হারানোর ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানার সাবেক ওসি নজরুল ইসলামসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বেলাল হোসেন মজুমদার (৫০) নামের এক ইমাম।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাদী বেলাল হোসেন মজুমদার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাম পণ্ডিত বাড়ি এলাকার আলী হায়দারের ছেলে। তিনি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করতেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর একজন সমর্থক।

মামলায় নাঙ্গলকোট থানার ওসি নজরুল ইসলামকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া নাঙ্গলকোট থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল আলী, একই থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন পুলিশ কনস্টেবল সামছুল হুদা ও শাহ আলমকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নাঙ্গলকোটের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুদ্দিন কালুকে আসামিও করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাদী বেলাল হোসেন মজুমদার মসজিদের ইমাম। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক। একই এলাকার আব্দুল হালিমের ছেলে বেলায়েত হোসেন তার একজন অনুসারী ছিলেন। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে বেলাল হোসেনের ঘরে প্রবেশ করেন তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলামের নির্দেশে এসআই বাবুল আলী, এসআই সালাউদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন পুলিশ কনস্টেবল সামছুল হুদা ও শাহ আলম। এ সময় তাকে এবং তার অনুসারী বেলায়েত হোসেনকে তুলে নিয়ে থানায় আটকে রাখা হয়।

পরে গভীর রাতে দুজনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঢাকা-নোয়াখালী মহাসড়কের লুধুয়া নামক স্থানে নিয়ে দুজনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে পুলিশ। একপর্যায়ে ওসি নজরুলের নির্দেশে দুজনের পায়ে গুলি করেন এসআই বাবুল আলী ও এসআই সালাউদ্দিন আহমেদ সঙ্গীয় ফোর্স। এ সময় গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। পরে ভুক্তভোগী দুজনের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে কারা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের পায়ের অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার তাগিদ দিলেও হেফাজতে থাকায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়া হয়নি। দুজনের মধ্যে বেলাল হোসেনের পায়ের অবস্থা বেগতিক হওয়ায় ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসক তার বাম পা কেটে ফেলেন। তাতে তিনি (বাদী বেলাল) পঙ্গু হয়ে পড়েন। অপর ভুক্তভোগী বেলায়েতের পা কাটা না হলেও তিনি যথাযথ চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করেন।

আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের মামলা সচরাচর কম হয়। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করেছেন। তবে বিচারক অভিযোগটি দেখে পরে তদন্তের বা অন্য আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

আমি ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট’ বলা সেই নেতা গ্রেফতার।

আমি ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট’ বলা সেই নেতা গ্রেফতার।

 

আমি ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট, আমাকে থানায় নিতে হলে ওসিকে আসতে বলেন’— 


বলা শাওন কাবী রিজা নামের এক ছাত্রদলে নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে তাকে আটক করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শাওন কাবী রিজা ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৬ নম্বর রূপসা (দক্ষিণ) ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।

তাকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম

রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে হাজারো সংস্কারে লাভ নেই চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও সিএমইউজের ইফতার মাহফিলে খসরু

রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে হাজারো সংস্কারে লাভ নেই চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও সিএমইউজের ইফতার মাহফিলে খসরু

 

দেশের গণতন্ত্রের অর্ডার ফিরিয়ে আনতে গণমাধ্যমকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গণমাধ্যমের গুরুত্বের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে যারা কাজ করেন তারা গত ১৬ বছর অনেক কষ্টের মধ্যে থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। একটি মুক্ত বাংলাদেশে ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করে আমরা গণতান্ত্রিক ঐক্যের পথে চলছি। এ সময় আগামী দিনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই গণমাধ্যমের সকলকে সাবধানে থাকতে হবে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জণ্য গণমাধ্যমকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর চট্টগ্রাম ক্লাবে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে) এর দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুইয়া।


আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাস্তায় থেকে জনগণের সামনে সঠিক চিত্র তুলে ধরেছে। তাই আগামী দিনগুলোতে গণতন্ত্রের যে সংগ্রাম চলছে, সেটিকে সফল করার জন্য, জনগণের মালিকানা, নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সবার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো, গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনবো, মানুষের রাজনৈতিক সাংবিধানিক অর্ডার ফিরিয়ে আনবো। দেশকে একটি শান্তিপূর্ণ পরষ্পর সম্মানবোধ রেখে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি পরিবর্তনে একযোগে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে অন্য সংস্কার করে কোনো লাভ নেই বলে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে না পারি তাহলে হাজারো সংস্কার করে কোনো লাভ হবে না। তাই রাজনীতিতের সহনশীলতা থাকতে হবে। ভিন্ন মত থাকলেও অপরপক্ষকে সম্মান জানাতে হবে। এটাই হবে বিএনপির রাজনীতি, তারেক রহমানের রাজনীতি। এ রাজনীতি নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব।


দেশের মানুষ নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মূল স্তম্ভ হচ্ছে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা। গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক, রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার একমাত্র পথ। আর তার বাহক হচ্ছে, দেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি, নির্বাচন। এর অপেক্ষায় রয়েছে দেশের মানুষ। একেকটি দিন অতিবাহিত হচ্ছে অগণতান্ত্রিক পরিবেশে। যেখানে জনগণের প্রতিনিধি দেশ পরিচালনা করছেন, যেখানে জনগণের দৈনন্দিন সুখ দুখের কথা শোনা, সেই দায়িত্বপূর্ণ জনগণের কাছে জবাবদিহি এ রকম একটি সরকারের অপেক্ষায় সবাই রয়েছে।


তিনি বলেন, দেশের যুবক সমাজ যারা গত তিন নির্বাচনে নিজেদের ভোট প্রয়োগ করতে পারে নাই তাদের ভোট প্রয়োগের অপেক্ষা, নির্বাচিত প্রতিনিধির অপেক্ষায়, নির্বাচিত সরকারে অপেক্ষায় এবং দায়বদ্ধ সরকারের প্রতিক্ষায় জনগণ আছে।


নির্বাচনকে পিছিয়ে দিতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এ নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য এবং গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে। যাদের জনসমর্থন নেই, যারা জনগণের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না তারা বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়ে জনগণের মনে সংশয় সৃষ্টি করছে।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের জনগণ দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। জনগণ এখন গণতন্ত্র, সুশাসন ও মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। তাই জাতীয় নির্বাচনই হবে জনগণের প্রতিনিধি নির্ধারণের একমাত্র পথ। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই।


ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলে সত্য তুলে ধরা যায় না। আর সত্য লিখা না গেলে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে না। বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকলে পাঠক বা দর্শক প্রত্যাখ্যান করে।


আবদুল হাই শিকদার বলেন, সাংবাদিকদের বিবেকের মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে। অপসাংবাদিকতা, হলুদ সাংবাদিকতা, তথ্য সন্ত্রাস পরিহার করে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে হবে। সঠিক তথ্য জেনে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়, সংবাদ মাধ্যমের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেল। সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হলো সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা।


ওবায়দুর রহমান শাহীন বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে অনেক সংবাদমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ প্রকাশ করে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি আস্থা কমিয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরা অনেক সময় নিজেদের কাজের যথার্থতা প্রমাণে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। গুজব, মিথ্যা তথ্যে সমাজ তথা রাষ্ট্রে বিশৃক্সখলা বাড়াচ্ছে। তাই সাংবাদিকদের আরো সচেতন হতে হবে।


কাদের গণি চৌধুরী বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ হলেও, এটি এখন বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কোনো আইন নেই। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের সামনে যে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এ পেশার স্বাধীনতা। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আইনি ও ক্ষমতামুখী সাংবাদিকতা সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে বড্ড অন্তরায় সৃষ্টি করছে। তাই সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাধীন পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।


সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, প্রেস ক্লাবের সদস্য গোলাম মওলা মুরাদ ও মিয়া মোহাম্মদ আরিফের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইফতার মাহফিল আয়োজক কমিটির আহবায়ক শামসুল হক হায়দরী, প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম।


উপস্থিত ছিলেন–বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ হাসিব আজিজ, সিডিএ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নুরুল করিম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, ইসলামি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, দৈনিক কর্ণফুলী সম্পাদক আফসার উদ্দিন চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর আ জ ম ওবায়দুল্লাহ, উত্তর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আলাউদ্দিন সিকদার, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া, সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, বিএনপি নেতা অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, কামরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, প্রয়াত বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের সন্তান সাঈদ আল নোমান, বিএফইউজে সহ সভাপতি খাইরুল বশর, বিজিএমইএ প্রথম সহ সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির আহবায়ক মকবুল কাদের চৌধুরী, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. সরওয়ার আলম, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) চট্টগ্রামের সভাপতি প্রকৌশলী জানে আলম সেলিম, প্রকৌশলী মো. ওসমান, জিয়া পরিষদ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান মোহাম্মমদ জসিম প্রমুখ।

শাপলা চত্ত্বরে গণহত্যা; হাসিনা-ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

শাপলা চত্ত্বরে গণহত্যা; হাসিনা-ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা



ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ও পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আজ বুধবার এ আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম‌হিউদ্দিন খান আলমগীর, গণজাগরন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার ও বেন‌জির আহমদ।

এ ছাড়া অন্য মামলায় কারাগারে থাকায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবে-সহকারী পরিচালক (এডি) আল আমিন

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবে-সহকারী পরিচালক (এডি) আল আমিন

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় আলোচিত বিষয় ছিল রামুর গর্জনিয়া বাজার ইজারা প্রসঙ্গ। দেশের সর্বোচ্চ ২৫ কোটি টাকায় ইজারা ডাক হয়েছে গর্জনিয়া বাজারের। অথচ এই বাজারের আর্থিক আয় নির্ভর করছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তকে নিয়ে। এমন তথ্য জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।

সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত  মাসিক সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলেছেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান বন্ধ হলে গর্জনিয়া বাজার থেকে এত আয় হবে না। সীমান্তে বিজিবিকে আরও কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। চোরাচালান প্রতিরোধে সবাইকে কাজ করতে হবে জানান এ কর্মকর্তা। এ ছাড়াও তিনি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পাহাড় কাটা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের কাজ করার আহ্বান জানান। সভায় নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির সহকারী পরিচালক (এডি) আল আমিন বলেন, সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে আরও কঠোরভাবে বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় সাম্প্রতিক সময়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ডাকাতদের উপদ্রব ও চোরাচালান কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন বক্তারা। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নাইক্ষ্যংছড়ি  থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইউছুফ, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদ, প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম কাজল প্রমুখ। মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার পর উপজেলার মাসিক সাধারণ সভা ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা ইউএনওঽর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।