বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় আলোচিত বিষয় ছিল রামুর গর্জনিয়া বাজার ইজারা প্রসঙ্গ। দেশের সর্বোচ্চ ২৫ কোটি টাকায় ইজারা ডাক হয়েছে গর্জনিয়া বাজারের। অথচ এই বাজারের আর্থিক আয় নির্ভর করছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তকে নিয়ে। এমন তথ্য জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলেছেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান বন্ধ হলে গর্জনিয়া বাজার থেকে এত আয় হবে না। সীমান্তে বিজিবিকে আরও কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। চোরাচালান প্রতিরোধে সবাইকে কাজ করতে হবে জানান এ কর্মকর্তা। এ ছাড়াও তিনি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পাহাড় কাটা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের কাজ করার আহ্বান জানান। সভায় নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির সহকারী পরিচালক (এডি) আল আমিন বলেন, সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে আরও কঠোরভাবে বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় সাম্প্রতিক সময়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ডাকাতদের উপদ্রব ও চোরাচালান কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন বক্তারা। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নাইক্ষ্যংছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইউছুফ, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদ, প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম কাজল প্রমুখ। মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার পর উপজেলার মাসিক সাধারণ সভা ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা ইউএনওঽর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।