নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুরে মাদক উদ্ধার অভিযানের সময় ছুরিকাঘাতে এক কনস্টেবল গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে নগরীর গাছা থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ (দক্ষিণ) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন এম নাসির উদ্দিন।
গ্রেফতাররা হলেন- গাছা থানার জাঝর উত্তর পাড়ার মরহুম জমির আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান মনির (২৮), একই থানার উত্তর খাইলকুর এলাকার মরহুম আব্বাস আলীর ছেলে জাহিদ মন্ডল বাবু (৩০) এবং দক্ষিণ খাইলকুর এলাকার মরহুম আলী আকবরের ছেলে নূরা (৩৭)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৩৫ গ্রাম হেরোইন, একটি ছোরা (ডেগার) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার মনিরের বিরুদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন থানায় মাদকসহ বেশ কয়েকটি ধারায় ১২টি মামলা রয়েছে।
এন এম নাসির উদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে গাছা থানার পাশ্চিম জাঝর এলাকার জনৈক আবুল কাশেমের বাড়ির পূর্ব পাশে বাউন্ডারি করা প্লটের ভেতর পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন করতেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী মনিরুজ্জামান ওরফে মনির পালানোর সময় কনস্টেবল মোস্তফা কামাল (কং নং- ৫২২ ) তাকে ধরে ফেলেন। পরে মনিরসহ তার সহযোগীরা ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আসামি মনিরুজ্জামান মনিরের হাতে থাকা ছোরা জাতীয় ডেগার দিয়ে কনস্টেবল মোস্তফাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে মোস্তফা কামালের বাম কানে এবং পেটের বাম পাশে গভীর কাটা রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম হন। তার পরেও মোস্তফা কামাল আসামি মনিরকে ধরে রাখেন।
পরে তার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স দ্রুত এগিয়ে গিয়ে মনিরকে ধরে ফেলে ও গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছে থাকা পঁয়ত্রিশ গ্রাম হেরোইন এবং একটি ছোরা জাতীয় ডেগার উদ্ধার করে।
পরে কনস্টেবল মোস্তফা কামালকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় দ্রুত গাছা থানাধীন তায়রুন্নেছা মেমোরিয়াল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই পুলিশ সদস্যের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে অপারেশন সম্পন্ন হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি আরো জানান, পরে গাছা থানা পুলিশ, এপিবিএন যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামি জাহিদ মন্ডল বাবু ও নূরাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।