ভারতীয় ক্রিকেটে এখন সাফল্যের জোয়ার বইছে। কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেট ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী।
সদ্য সমাপ্ত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে ২৯ বছর পর কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ছয় দিনেই তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। ওদিকে ভারত গত রাতে ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের মুখোমুখি লড়াইও এখন আর জমে না। সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ম্যাচ ঘিরে ‘হাইপ তোলা হলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত হেসেখেলে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে। রোহিত–কোহলিরা–শামিরা দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে রিজওয়ান–বাবর–আফ্রিদিদের শক্তি ও সামর্থ্যের ব্যবধান কতখানি।
ভারত–পাকিস্তান দ্বৈরথ বড্ড একপেশে ও পানসে হয়ে ওঠায় ভারতীয় কিংবদন্তি বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় ভারতের ‘বি দলও পাকিস্তানকে কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাবে। ‘সিঽ দলের কথা আমি বলতে পারব না। তবে পাকিস্তানের বর্তমান এই দলটির জন্য ভারতের ‘বি দলকে হারানোও কঠিন হবে। ওদের ক্রিকেটের এখন এতটাই খারাপ হাল।
গাভাস্কারের এমন মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানিদের অহমে আঘাত দেওয়ার কথা। ইনজামাম–উল–হকও গাভাস্কারের কথা শুনে বেজায় চটেছেন। শুধু তা–ই নয়; পাকিস্তান কিংবদন্তি ইনজামাম প্রায় দুই সপ্তাহ পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে গাভাস্কারকে এক রকম অপমান করেছেন। জানিয়েছেন, তাঁর মুখে লাগাম টানা উচিত।
পাকিস্তানের এক সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেলকে ইনজামাম বলেছেন, ‘তাঁকে (গাভাস্কারকে) কেউ পরিসংখ্যান দেখতে বলুন। তাহলেই তিনি জানতে পারবেন পাকিস্তানের অবস্থান কোথায়। তাঁর মতো একজন এমন মন্তব্য করায় আমি খুব দুঃখ পেয়েছি। তিনি অনেক বড় মাপের ও সম্মানীয় ক্রিকেটার। কিন্তু এ ধরনের কথাবার্তা বলে তিনি নিজের লিগ্যাসিকে অবমূল্যায়ন করছেন। তাঁর মুখে সামলে কথা বলা উচিত।