Monday, March 10, 2025

জামালপুরে সেই পুরোনো রূপে এডি দিদারুল


 চাঁদপুরে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের পর গেল ২ অক্টোবর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) জামালপুর কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক পদে বদলি করা হয় এ কে এম দিদারুল আলমকে। 

সেখানে গিয়েও অনিয়মের একই ধারা জারি রেখেছেন তিনি। তাঁর অধীনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও তাঁর আচরণে নাখোশ। এডি দিদারুলের অনিয়ম-দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে গত ২৭ নভেম্বর পরিদর্শক তারেক মাহমুদ, এসআই মোস্তাফিজুর রহমান, হিসাবরক্ষক ফরহাদ হোসেনসহ ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী তাঁর বিরুদ্ধে ডিএনসির প্রধান কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ওই অভিযোগে বলা হয়, চাঁদপুর থেকে জামালপুরে এসেও দিদারুলের অপকর্ম থেমে নেই। ২ নভেম্বর জামালপুরের যৌনপল্লিতে দলবল নিয়ে অভিযানে যান দিদারুল। আভিযানিক দলের সদস্যদের বাইরে থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি যৌনপল্লির অন্যতম তত্ত্বাবধায়ক ও গাঁজা কারবারি নারীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। এ সময় আভিযানিক দলের এক সদস্য কৌশলে দূর থেকে মোবাইল ফোনে এ ছবি তোলেন। 

বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলেই ওই সদস্যের সঙ্গে অসদাচরণ করার পাশাপাশি মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ছবি মুছে দেন। একই দিন মাদক মামলার পলাতক আসামি আবদুল হালিমকে ধরে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন।
অভিযোগের সত্যতা জানতে গত সোমবার মোবাইল ফোনে কথা হয় হালিমের ছেলে মেহবুব রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, মাদক মামলায় তাঁর বাবার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। দুই লাখ টাকার বিনিময়ে তাঁর বাবাকে দিদারুল ছেড়ে দেন।

ডিএনসির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো অভিযোগপত্রে দিদারুলের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ে মাদক কারবারিদের কাছ থেকে টাকা তুলে না দিলে পরিদর্শকসহ অপর সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। দিদারুলের সঙ্গে চাকরি করতে অনীহা প্রকাশ করে জামালপুর থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বেচ্ছায় বদলি চান। 

এ অভিযোগের এক দিন পর ২৯ নভেম্বর দিদারুলও ডিএনসির প্রধান কার্যালয়ে পাল্টা অভিযোগ করেন তাঁর অফিসের পরিদর্শক তারেক মাহমুদের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে এ কে এম দিদারুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
ডিএনসির পরিচালক (অপারেশনস ও গোয়েন্দা) তানভীর মমতাজ বলেন, ‘আমরা দিদারুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’


শেয়ার করুন