আজ রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এ সময় আদালত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশও দেন। শিশুটিকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুটির নাম পরিচয়সহ ছবি ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টিও আদালতে তুলে ধরেন তিনি। তিনি শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান।
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা গতকাল শনিবার বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর মো. হিটু শেখ (৪২), তাঁর স্ত্রী জাহেদা (৪৫), তাঁদের দুই ছেলে সজিব (১৮) ও মো. রাতুল শেখকে (২০) আসামি করা হয়েছেমামলার বাদী উল্লেখ করেন, ‘গত ১ মার্চ আমার ছোট মেয়ে (০৮) বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। এরপর গত ৬ মার্চ আনুমানিক সকাল ১০টায় বড় মেয়ে মোবাইলফোনে জানায় তার ছোট বোন অসুস্থ। পরে আমি বড় মেয়ের শ্বশুর বাড়ি মাগুরা সদরের নীজনান্দুয়ীতে চলে আসি। তখন আমি জানতে পারি, আমার ছোট মেয়ে ৫ মার্চ রাতে বড় মেয়ে ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল। এরপর গভীর রাতে বড় মেয়ে ঘুম থেকে জেগে দেখে তার ছোট বোন মেঝেতে পড়ে আছে। তখন ছোট বোন তার বড় বোনকে বলে তার গোপনাঙ্গ ব্যথা শুরু হয়েছে। এরপর সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসাপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতী হলে ফরিদপুর ও পরে ঢাকায় নেওয়া হয়।’
বাদীর মা আরও উল্লেখ করেন, ‘মাগুরা সদর হাসপাতালে মেয়েকে গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিকভাবে তখন তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। এরপর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শিশুটির জরুরিভাবে চিকিৎসা চলছে। এজন্য মামলা করতে দেরি হলো।’
উল্লেখ্য, শনিবার শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শেয়ার করুন